img

চাঁদপুরের কচুয়ায় একটি বাড়ি নিয়ে গঠিত ছোট গ্রাম ‘ধৈয়ামুড়ি’। স্থানীয়দের কাছে মাঝিগাছা গ্রাম বলেই পরিচিত এ মহল্লাটি। শত বছর আগে মাত্র একটি পরিবার এ গ্রামে বাড়ি করলেও এখন এ গ্রামের জনসংখ্যা ৪৩ জন ও ভোটার সংখ্যা ২৪ জন।

জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৩নং বিতারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাঝিগাছা গ্রামের পূর্ব-দক্ষিণ অংশের বিলে এ গ্রামের অবস্থান। উত্তর জনপদের এ বাড়িতে বসবাস করছে মোট ৮টি পরিবার। বাবা-মা, ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ জনসংখ্যা ৪৩ জন।

এ গ্রামের উত্তর-পশ্চিমে মাঝিগাছা, দক্ষিণে যুগিচাপর ও পূর্বে তেগুরিয়া গ্রাম। গ্রামের চারদিকে ফসলি জমি ও সবুজের সমাগম। বছরের প্রায় ৬ মাসেরও বেশি কাদামাটি ও পানি পেরিয়ে ঢুকতে হয় রাস্তাবিহীন ও উন্নয়নবঞ্চিত এ গ্রামে। বর্ষার মৌসুমে একমাত্র ভরসা নৌকা।

এ গ্রামের বাসিন্দা আমিন মোল্লা, ছালাম মোল্লা, ইসমাইল মোল্লা, শাহীন মোল্লা ও শিউলি বেগমসহ অনেকে জানান, রাস্তাঘাট না থাকায় ছেলেমেয়েদের বেশিদূর লেখাপড়া করাতে পারিনি। ফলে অনেকে গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে ঝুঁক দিচ্ছেন। স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মক্তব না থাকলেও আমাদের মূল সমস্যা যাতায়াতের রাস্তা। জন্মের পর থেকে এ গ্রামে কখনো মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান কিংবা ইউপি চেয়ারম্যানদের আগমন কেউ দেখিনি। মাঝে-মধ্যে ইউপি সদস্য প্রার্থীরা দূর থেকে প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে কেউ কথা রাখেনি। ফলে শত বছরেও এই গ্রামের দুই দিকে রাস্তা করার সুযোগ থাকলেও রাস্তা নির্মিত হয়নি। তাই জরুরিভাবে একটি নতুন রাস্তা নির্মাণ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

কচুয়ার বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, এ গ্রামের কথা কেউ জানাননি। তবে সরেজমিন খোঁজখবর নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান রাসেল জানান, আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নতুন রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ